নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা | অঙ্গীকারনামা ফরম pdf

মাত্র ২মিনিট সময়ের মধ্যে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লিখতে পারবেন। ভোটার হওয়ার বয়স এবং সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যারা আইডি কার্ডের আবেদন করেনি, তাদের নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করতে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়।

অনেকে দীর্ঘদিন বিদেশে কর্মরত থাকার কারণে বয়স হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারে না। সাধারণত যাদের বয়স ৩০ এর বেশি তাদের আইডি কার্ড আবেদ করতে অঙ্গীকার নামা প্রয়োজন। NID Card না থাকায় ভোটার লিস্টে তাদের নাম আসেনা। এর ফলে দেশে এসেও নানাবিদ সমস্যায় পড়তে হয়।

তারা যখন নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করবে তখন পূর্বে কখনো ভোটার হয়নি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা লিখতে হয়। তাই আমাদের উচিত ১৮-২০ বছরের মধ্যেই ভোটার হয়ে যাওয়া। বর্তমানে বিদেশে থেকেই ভোটার এবং এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যায়।

ভোটার অঙ্গীকারনামা লিখার নিয়ম

আপনার বয়স যখন তুলনামূলক বেশি হবে তখন নতুন ভোটার আইডির জন্য আবেদন করতে গেলে অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে অঙ্গিকারনামা জমা দিতে হবে। অঙ্গীকার নামা হল একটি লিখিত কমিটমেন্ট।

আপনি এর আগে কখনো NID Card বা ভোটার নিবন্ধন করেননি এবং এতদিন ভোটার না হতে পারার কারণ উল্লেখ করতে হবে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে একজন ব্যক্তি ডাবল ভোটার হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

ভবিষ্যতে ডাবল ভোটার হবার প্রমান পেলে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তা মেনে নিতে বাধ্য থাকিবে ভোটার অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করে দিতে হয়।

নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা
নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা

অঙ্গীকারনামা ফরম

নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা কিভাবে লেখতে হয় তার নমুনা দেয়া হলো। ভোটার অঙ্গীকার নামার নমুনা অনুসরণ করে আপনি আপনার মত করে অঙ্গীকারনামা লিখতে পারবেন।

অঙ্গীকারনামা

এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি আবুল মিয়া, পিতা- বাবুল মিয়া, মাতা- রাবেয়া বেগম, গ্রাম- জামতলি, পোস্ট- বেলতলি – ৪২০১, উপজেলা- তালতলি, জেলা- বটতলী, অত্র এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান করার কারণে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের সময় এলাকায় উপস্থিত থেকে ভোটার হতে পারিনি। তাই এখন নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে, ইতোপূর্বে বাংলাদেশর কোথায়ও ভোটার নিবন্ধন করিনি। যেহেতু একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দন্ডণীয় অপরাধ সেহেতু আমি ভবিষ্যতে দ্বৈত ভোটার হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমি তা মেনে নিতে বাধ্য থাকব।

এমতাবস্থায়, আমাকে নতুন ভোটার করার জন্য আপনার নিকট সবিনয় অনুরোধ করছি।

(স্বাক্ষর)

আবুল মিয়া

পিতা- বাবুল মিয়া,

গ্রাম- জামতলি, পোস্ট- বেলতলি – ৪২০১,

উপজেলা- তালতলি, জেলা- বটতলী।

অঙ্গীকারনামা ফরম pdf

অনেকেই নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকারনামা কিভাবে লিখতে হয় তা জানেনা। তাই আপনাদের জন্য ইডিটেবল ফাইল শেয়ার করা হল। এই ভোটার অঙ্গীকার নামা Word file ডাউনলোড করে সেটি নিজের তথ্য দিয়ে পরিবর্তন করে নিন।

আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা এবং ভোটার না হতে পারার কারণ আপনার তথ্য অনুসারে পরিবর্তন করুন। তারপর সেটি প্রিন্ট করে নতুন ভোটার আবেদনের ডকুমেন্টের সাথে জমা দিন।

উপরের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলে আপনার ফোনে/কম্পিউটারে অঙ্গীকারনামা pdf ডাউনলোড হবে। এখন এটিকে আপনার নিজের তথ্য আনুসারে পরিবর্তন করে প্রিন্ট করে নিন। ভোটার আবেদন করার জন্য যে সব ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র প্রয়োজন তার সাথে এই অঙ্গিকারনামা টিও জমা দিন।

অঙ্গীকারনামা word file

আমাদের মধ্যে অনেকেই Microsoft Word ব্যবহারে অভ্যস্ত। অঙ্গীকারনামা word file ডাউনলোড করে MS word আপ্লিকেশনে ওপেন করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবর্তন করে প্রিন্ট করুন। জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে এই অঙ্গীকারনামা জমা দিন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি ডকুমেন্ট বা কাগজ জমা দিতে হয় তা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে এই লেখাটি দেখতে পারেন। অনলাইনে জাতয় পরিচয়পত্রের আবেদনে যে সব ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ভোটার অঙ্গীকারনামা কি?

ইতোপূর্বে কখনো ভোটার হওয়ার আবেদন করা হয়নি এবং ভবিষ্যতে একাধিকবার ভোটার হওয়ার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে তার কোন আপত্তি থাকবে না এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার কে ভোটার অঙ্গীকারনামা বলে।

নিজের নাম, পিতা মাতার নাম ঠিকানা ও ভোটার না হতে পারার কারণ উল্লেখ করে এবং আগে কখনো ভোটার নিবন্ধন করেনি এবিষয় নিশ্চিত করে একটি লিখিত অঙ্গীকার করতে হয়।

ভোটার অঙ্গীকারনামার প্রয়োজনীয়তা

কেউ কেউ তাদের আইডি কার্ডে ভুল থাকার কারণে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করতে চায়। কিন্তু একজন ব্যক্তি একাধিক ভোটার হতে পারবে না। একাধিক ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বরং এনআইডি কার্ডে ভুল থাকলে তা অনলাইনে NID Correction আবেদন করেই সংশোধন করা যায়।

তাই যারা তুলনামূলক বেশি বয়সে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে চায়, তাদের একাধিক ভোটার হওয়া থেকে ঠেকাতে ভোটার অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন। যদিও একজন একাধিক আইডি কার্ড করতে চায় তাহলে হাতের আঙ্গুলের ছাপ দিতে গিয়েই ধরা পরে যায়।

FAQ’s

অঙ্গীকারনামা কোথায় জমা দিতে হয়?

নতুন ভোটার আবেদন করা কমপ্লিট হবার পর, যখন আপনাকে আইডি কার্ডের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার জন্য SMS করা হবে, তখন অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে এই অঙ্গীকারনামা জমা দিবেন।

সবার ভোটার হতে অঙ্গীকারনামা লাগে?

এক কথায় উত্তর হচ্ছে না। যারা ১৬-১৮ কিংবা ২০ বছরের মধ্যে ভোটার হওয়ার আবেদন করবে তাদের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা প্রয়োজন নেই।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

One Comment