জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো ভোটার আইডি কার্ড হাতে পাননি। অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম জেনে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাইলে এই লিখাটি আপনার জন্য।

আজকে আমি দেখাতে চলেছি ভোটার আইডি কার্ডের জন্য ছবি এবং হাতের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে আসার পর অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার খুব সহজ পদ্ধতি। আমি আমার NID Card Download বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে যে সকল ধাপ অনুসরণ করেছে তা বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আমরা জানি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড হচ্ছে দেশের একজন স্থায়ী বাসিন্দা এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। এই National Identity Card (NID Card) ব্যক্তির রাষ্ট্রীয় সরকারি, বেসরকারি সেবা এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সহায়তা করে।

এনআইডি কার্ড না থাকলে একজন নাগরিক অনেক সরকারি এবং বেসরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয় যেমন, পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স, যে কোন ব্যাংকের একাউন্ট, ট্রেড লাইসেন্স সহ গুরুত্বপূর্ণ সকল ক্ষেত্রেই ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়।

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম

নিজে নিজে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য ভিজিট করুন https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই ওয়েবসাইটে। প্রথম ইনপুট ফিল্ডে ফরম নাম্বার অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার লিখে, জন্ম তারিখের ঘরে জন্মতারিখ (দিন, মাস, বছর) বসিয়ে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করুন।

এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার ধাপে যাবার পূর্বে স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা তথ্য দিতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করার সময় ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ওটিপি ভেরিফিকেশন করে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। উপরের তথ্যগুলো সঠিক থাকলে এখন আপনাকে ফেইস ভেরিফিকেশন করতে বলা হবে।

সবশেষে NID Wallet App এর মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে। একাউন্টে ড্যাশবোর্ড এর নিচের দিকে ডাউনলোড অপশন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

আমি বুঝতে পারছি এভাবে বললে বিষয় গুলো থিউরিটিক্যাল হয়ে যাচ্চে। যেহেতু অ্যাকাউন্টট রেজিস্ট্রেশন টেকনিক্যাল বিষয় তাই এটি প্র্যাকটিক্যালি এবং স্ক্রীনশট সহকারে দেখলে সহজ হবে। তাই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার প্রতিটি ধাপের স্ক্রিনশট সহকারে বিস্তারিত বর্ণনা নিচে উল্লেখ করা হলো।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

নিজে নিজে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সরকারি ওয়েবসাইট https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/claim-account নিবন্ধন পেজে ভিজিট করে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার/ফরম নাম্বার, জন্ম তারিখ, সিকিউরিটি ক্যাপচা ও ফেইস ভেরিফিকেশন করে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর প্রোফাইলে লগইন করে ড্যাশবোর্ডের “ডাউনলোড” অপশন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড অপশনে পৌঁছানোর আগে কয়টি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ধাপ গুলো হচ্ছে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন, ঠিকানা যাচাই, মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন, ফেস ভেরিফিকেশন।

আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আরো কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয় তা আমরা নিচে দেখতে দলেছি। এর আগে দেখে নেয়া যাক আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য কি কি প্রয়োজন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যা যা প্রয়োজন

যে জাতীয় পরিচয়পত্র টি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন তার কিছু তথ্য ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে প্রয়োজন হবে। আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা নিচে উল্লেখ করা হলো

  • NID Number/ফরম নাম্বার
  • জন্মতারিখ (দিন, মাস, বছর)
  • মোবাইল নাম্বার (আবেদনের সময় যেটি ব্যাবহার করা হয়েছে)
  • ঠিকানা
  • আইডি কার্ডের মালিক

উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো আপনার কাছে থাকলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য প্রস্তুত। যেহেতু ফেস ভেরিফিকেশন করার প্রয়োজন হবে তাই যার ভোটার আইডি কার্ড সে ব্যতীত একাউন্টে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না।

একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন

একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন services পোর্টাল যেতে হবে। ভিজিট করুন https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংকে। তারপর অ্যাকাউন্ট নেই? এই সেকশন থেকে “রেজিস্টেশন করুন” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড
একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার রেজিষ্টেশন ফরম পূরণ

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য রেজিষ্টেশন ফরম পূরণ করতে হয়। নিচের ছবিটি আনুসরন করে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। নতুন এনাইডি কার্ড করার আবেদনে যেরকম তথ্য দিয়েছেন এখানে সে আনুসারে ফরম ফিলাম করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার রেজিষ্টেশন ফরম পূরণ
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড রেজিষ্টেশন ফরম পূরণ
  • জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বরঃ ১ম শূন্যস্থানে ভোটার স্লিপ নাম্বার অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার পূরণ করুন। ভোটার স্লিপে ৮ সংখ্যার শুধু নাম্বার থাকলে ফরম নাম্বারের আগে NIDFN যুক্ত করে ব্যাবহার করতে হবে। ধরুন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফরম নাম্বার 96587421 এখন আপনি এটি NIDFN96587421 এভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বর ঘরে প্রবেশ করাবেন।
  • জন্ম তারিখের ঘরে জন্ম তারিখ বাছাই করতে হবে। জন্ম তারিখ ভোটার আবেদনে যা দিয়েছিলেন তাই দিতে হবে। আপনার জন্ম তারিখ সিলেক্ট করার জন্য জন্ম তারিখ, জন্ম মাস এবং জন্ম সাল বাছাই করুন।
  • আপনার আইডি কার্ডের তথ্য সঠিক ভাবে ইনপুট করা হলে, সবশেষে একটি সিকিউরিটি কেপচা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। সাবমিট করার পর নতুন একটি পেজ ওপেন হবে।

ঠিকানা যাচাই । জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা যাচাই করার জন্য ব্যক্তির বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা বাছাই করে দিতে হবে। ঠিকানা ভুল দিলে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে দেয়া হবে না। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে উভয় ঠিকানায় একই দিতে হবে।

  • বর্তমান ঠিকানাঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদনে বর্তমান ঠিকানা যেটি দিয়েছিলেন সেই ঠিকানা এখানে প্রদান করুন। বর্তমান ঠিকানা বাছাই করার জন্য ১.বিভাগ, ২.জেলা, ৩.উপজেলা নির্বাচন করে দিতে হবে।
  • স্থায়ী ঠিকানাঃ ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার সময় স্থায়ী ঠিকানা যা দিয়েছিলেন তা এখানে বাছাই করুন। আর যদি স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা একই হয়, তা হলে বর্তমান ঠিকানা যেভাবে দিয়েছেব ঠিক সেভাবে স্থায়ী ঠিকানা বাছায় করুন।
জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা যাচাই
জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা যাচাই

আপনার ঠিকানা সঠিক ভাবে দেয়া হয়ে গেলে ফরমটির শেষের দিকে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন। আপনার প্রদত্ত ঠিকানা সঠিক হলে আরো একটি নতুন পেজে নিয়ে যাবে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশনের জন্য।

মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশনের

আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যে নাম্বার দিয়েছিলেন এখন এই নাম্বারটি ভেরিফিকেশন করতে হবে। Mobile Number verification করার জন্য আপনার ফোন নাম্বারের প্রথম এবং শেষ দিছু আংশ দেখতে পাবেন। নাম্বারটি আপনার কাছে থাকলে “বার্তা পাঠান” বাটন চাপুন।

প্রদর্শিত মোবাইল নাম্বর আপনার না হলে বা কোন নাম্বার প্রদর্শিত না হলে “মোবাইল পরিবর্তন” অপশন সিলেক্ট করুন। তার পর আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিয়ে বার্তা পাঠানে চাপুন। তারপর nid server থেকে আপনার ফোনে একটি মেসেজ পাঠাবে, যাতে ৬ সংখ্যার একটি OTP Code থাকবে।

মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশনের
মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশনের

OTP Submit

একাউন্ট রেজিস্টেশনের এই ধাপে OTP এর মাধ্যমে ফোন নাম্বার যাচাই করতে হবে। এটি জাতীয় পত্র যাচাই করার করার একটি মাধ্যম কারন ভোটার আইডি কার্ডের প্রকৃত মালিকের কাছেই এই নাম্বার থাকে। আপনার মোবাইল ফোনে অটিপি চলে আসলে যাচাইকরন কোডের ঘরে ইনপুট করুন।

৬০ সেকেন্ড অপেক্ষা করার পরেও যদি আপনার ফোনে কোন প্রকার ভেরিফিকেশন কোড না আসে তা হলে আরো একটি নতুন OTP Code এর জন্য “পুনরায় পাঠান” এই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তার পরেও যডি কোন কোড না আসে তা হলে আপনার অন্য আরেকটি নাম্বার ব্যাবহার করে দেখতে পারেন। মাঝে মাঝে সার্ভারের সমস্যা কিংবা মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারনে এমন হতে পারে।

মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশনের
OTP Submit for NID Card Download

আশাকরি আপনার মোবাইলে ৬ সংখ্যার OTP চলে এসেছে। এখন উপরের দেয়া ছবির মতো OTP Submit ঘরে আপনার ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে “বহাল” অপশনে চাপুন। এর পরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পেজে আপনাকে নিয়ে যাবে। যেখানে যার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা হবে তার ফেস ভেরিফিকেশন করতে বলা হবে।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড Face Verification

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ফেইস ভেরিফিকেশন (Face Verification). এই পর্যায়ে আইডি কার্ডের মালিক নিজে উপস্থিত থাকতে হয়। NID Wallet App ব্যাবহার করে ব্যক্তির ফেস ভেরিফিকেশন করা হয়।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড Face Verification
Face Verification QR Code

Google Play Store থেকে Nid Wallet অ্যাপ আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিতে হবে। অ্যাপ ইন্সটল হয়ে গেলে তা ওপেন করতে হবে। তারপর কেমেরা চালু করার পারমিশন চাইবে, সব কিছু ঠিক করে সফটওয়্যার চালু হলে, QR Code স্কেন করার জন্য কেমেরা চালু হবে। ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত QR Code মোবাইল দিয়ে nid wallet app দিয়ে স্কেন করে ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে।

QR code scan
Nid Wallet দিয়ে QR Code Scan

Face Verification করার সময় ব্যক্তির চোখের পলক এবং মাথা ডানে-বামে নাড়াতে হয়। ব্যক্তিকে সনাক্ত হয়ে গেলে অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য আনুমোদন দেয়া হয়। Face verify এর মধ্য দিয়ে সফল ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে, আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করার জন্য প্রস্তুত।

NID Card Download

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার জন্য অ্যাকাউন্টের ড্যাশবোর্ড প্রবেশ করতে হবে। পূর্বে দেখানো নিয়ম আনুসরন করলে এই পর্যন্ত পৌছে যাবার কথা। এখন হোম মেনুতে প্রবেশ করতে হবে। আপনি এখন আপনার ছবি ও আপনার পরিচয় পত্রের কিছু তথ্য এবং তার পাশাপাশি এই পেজের নিচের দিকে ডাউনলোড নামক বাটন দেখতে পারবেন।

NID Card Download করার জন্য ডাউনলোড বাটনে চাপুন। তারপর আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে জাতীয় পরিচয় পত্রের PDF Download হয়ে যাবে।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
NID Card Download

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে গেলে এটি প্রিন্ট করে লেমেনেটিং করে নিলে অরজিনাল জাতীয় পরিচয় পত্রে পরিনত হবে। এই অনলাইন হতে ডাউনলোড করা এনআইডি কার্ড এবং নির্বাচন কমিশন থেকে প্রদান করা NID Card এর মধ্যে কোন প্রকার পার্থক্য নেই।

এই আইডি কার্ড যেকোন স্থানে অনায়াসে ব্যাবহার করা যাবে। গ্রহনযোজ্ঞতার খেত্রেও কোন প্রকার সমস্যা নেই। কারন এই পরিচয় পত্রটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আফিশিয়াল সাইট থেকেই তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের লেমেনেটিং ভোটার আইডি কার্ড যেটা দেয়া হয় সেটাও এখান থেকে থেকেই ডাউনলোড করা হয়।

NID BD জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড

NID BD জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার উপায় ও সহজে অনলাইনে nidbd ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। nid bd এর জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য উপরে বর্ণিত ধাপ গুলো আনুসরণ করে খুব সহজে NID Card Download করতে সক্ষম হবেন।

ভোটার স্লিপ বা ফরম নাম্বার দিয়ে NID Card BD বের করার জন্য ফরম নাম্বারের প্রথমে NIDFN যুক্ত করে ব্যবরহার করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে শুধু Voter Slip নাম্বার ব্যবহার করলে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। যার ফলে NID BD থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করা যায় না।

voter slip

নতুন আইডি কার্ডের আবেদন করলে আবেদন জমা দেয়ার ও বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের পর একটি ভোটার স্লিপ বা ফরম নাম্বার দেয়া থাকে। ভোটার স্লিপের ডান দিকের উপরে ফরম নাম্বারের ঘরে ৮ ডিজিটের শুধু নাম্বার দেয়া থাকে। কিন্তু অনলাইনে nid bd ডাউনলোড করার জন্য ফরম নাম্বারের পূর্বে NIDFN অতিরিক্ত যুক্ত করতে হবে।

আপনার ফরম নাম্বার যদি 68579456 হয় তা হলে এটিকে NIDFN68579456 এভাবে লিখতে হবে। বাদ বাকি সকল উপরের দেখানো নিয়মেই করবেন। ভোটার ফরম দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম দেখুন।

NID BD নিয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানুন

বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র (nid bd) নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখা ভালো। ভোটার আইডি কার্ডে ভুল থাকে সংশোধন করার উপায়, আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে পুনরায় পাবার উপায় এসব বিষয়ে আমাদের কিছু লিখা প্রকাশ করা হয়েছে।

HomeNID BD
আইডি কার্ড যাচাইজাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই
NID সংশোধন করুনNID Card Correction
স্মার্ট কার্ডSmart Card Status Check

NID BD ডাউনলোড সংক্রান্ত প্রশ্ন-

জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সচারাচর জিজ্ঞেসিত কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর ও সহজ সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ভোটার নিবন্ধন ফরম/স্লিপ হারিয়ে গেলে কি করব?

আইডি কার্ড ডাউনলোড করার আগ পর্যন্ত ভোটার নিবন্ধন ফরম বা স্লিপ নাম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিবন্ধিত স্লিপ হারিয়ে গেলে উপজিলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। তাদের পরামর্শে প্রয়োজনে থানায় জিডি করে উপজেলা জমা দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অধিকাংশ সময় জিডি ছাড়াই ভোটার ফরম নাম্বার অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার জানিয়ে দেয়।

আইডি কার্ডের মোবাই নাম্বার পরিবর্তন করে কিভাবে?

অ্যাকাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করার মোবাইল ভেরিফিকেশন করার ধাপে মোবাইল পরিবর্তন করার অপশন থাকে। পূর্বের দেয়া নাম্বার না থকলে বা নাম্বার পরিবর্তন করে নতুন ফোন নাম্বার দিতে চাইলে “মোবাইল পরিবর্তন” বাটন চাপুন।

তারপর নতুন নাম্বার ইনপুট করার অপশন পাবেন। আপনার নাম্বার দিয়ে সাবমিট করুন, এরপর ফোনে ওটিপি পাঠালে তা ভেরিফাই করুন। এভাবে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন।

স্মার্ট আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়?

অনলাইন থেকে স্মার্ট এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায় না। নির্বাচন কমিশন হতে smart nid card এলাকা ভিত্তিক প্রদান করা হয়। কেন কারনে স্মার্ট আইডি কার্ড রিসিভ করতে না পারলে, আপনার স্থানিয় নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করুন।

nid অনলাইন কপি ডাউনলোড করবো কি করে?

nid ওয়েবসাইটে লগইন করার পর অ্যকাউন্ট ড্যাশবোর্ড থেকে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। একাউন্টের হোম মেনুর নিচের দিকে ডাউনলোড বাটন দেখতে পাবেন। এখানে ক্লিক করে nid অনলাইন কপি ডাউনলোড করা যাবে।

হারানো আইডি কার্ড ডাউনলোড করবো কিভাবে?

২০২০ সালের পরে যারা জাতির পরিচয়পত্র করেছেন তারা বিনামুল্যে এই পোস্টে দেখানো নিয়মে ডাউনলোড করতে পারবে।
যারা তারও আগে ভোটার হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে হারানো আইডি কার্ড বের করার জন্য থানায় জিডি লিখিয়ে অনলাইনে nid reissue আনেদন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

49 Comments

    1. আশাকরি আপনি আমাদের দেখানো নিয়ম আনুসরণ করে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হয়নি।

      1. আমার ভোটের স্লিপ নাম্বার জানতে চাচ্ছি।
        সাহায্য করুন

        1. উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন অথবা ১০৫ নাম্বারে ফ্রিতে কল করে জেনে নিন।

  1. আমার এনআইডি কার্ডটা ডাউনলোড করতে চাইতেছি সহযোগিতা করুন

    1. ডাউনলোড করতে কি ধরণের সমস্যা হচ্ছে বলুন। যথা সাধ্য সহায়তা করার চেষ্টা করবো।

          1. আমার আইডি কার্ডের বয়স বেশি।আর সার্টিফিকেটে কম। এখন আমি পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। আমার এলাকার নির্বাচন অফিসে যাওয়ার পর এরা বললো অনেক টাকা লাগবে। এইটা কি ঠিক নাকি

          2. আমার এনআইডি কাড ডা্উনলোট কিভাবে করতে পারি

    1. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে এবং সংশোধন উপযুক্ত হলে আনুমোদন হয়ে যাবে। অপেক্ষা করতে হবে।

  2. আমি আইডি কার্ড অনলাইন থেকে বের করে রাখছি।কিন্তু এখনো স্মার্ট কার্ডটা পাই নাই। এখন করনীয় কি।

  3. sir আমার স্বামীর NID card তিন মাস হলো সংশোধনের জন্যে আবেদন করছেন। কিন্তু এখনো সংশোধন হয়নী ।এখন আমাদের কি করনীয়

    1. উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। যদি আরো ডকুমেন্টের জন্য আবেদন পেন্ডিং হয়ে থাকে তা জানতে পারবেন।

  4. NID Card হারিয়ে গেছে। পরবর্তীতে রি ইস্যুর আবেদন করি এবং অনলাইন কপি ডাউনলোড করি। কিন্তু এতে আইডী নাম্বার চ্যাঞ্জ হয়ে গিয়েছে। কারন কি?

    1. আপনি অনলাইন থেকে যে আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করেছেন তা স্মার্ট NID Card এর নাম্বার সম্বলিত। পুরাতন ১৩ কিংবা ১৭ সংখ্যার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে পাবেন না। তবে আপনি টেকনিক্যালি আপনার পুরাতন এনআইডি কার্ডের নাম্বার বের করতে পারবেন।