বাতিল হতে চলেছে ৫ লাখ ৩০ হাজার আইডি কার্ড
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ টি ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাদের আইডি কার্ড বাতিল হবে, আপনার আইডি কার্ড এই বাতিল হওয়া তালিকায় রয়েছে কিনা বিস্তারিত জানুন।
সর্বশেষ ভোটার তালিকা হালনাগাদ অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন, নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা ৯৩২।
তবে সমস্যার বিষয় হচ্ছে এই ভোটারদের মধ্যে ৫ লাখ ৩০ হাজারেও বেশি ভোটারের দুইটি করে আইডি কার্ড রয়েছে, যাকে আমরা দ্বৈত ভোটার বলি। একজন নাগরিকের একটি মাত্র আইডি কার্ড থাকবে একের অধিক ভোটার হওয়া দণ্ডনীয় আপরাধ।
অনেকে আইডি কার্ডে ভুল থাকায় সেটি সংশোধন না করে নতুন আরেকটি আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করে এই কারণে ডাবল ভোটার সমস্যা হয়। আমরা চাইলে আবেদন করার মাধ্যমে আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন করতে পারি।
দ্বৈত ভোটারদের করনীয়
দ্বৈত ভোটার হলে ব্যক্তির নিজ উদ্যোগে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে ডাবল ভোটার বাতিলের আবেদন করতে পারবেন। দ্বৈত ভোটারদের আইডি কার্ড সচল থাকলেও এই আবেদন করা উচিৎ, তা না হলে পরবর্তীতে আইডি কার্ড বন্ধ সহ ভোটার লিস্ট থেকেও নাম কাটা পরতে পারে।
দ্বৈত ভোটারদের প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রটি (এনআইডি) বহাল রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদারের সই করা, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করা ও নতুন ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা নিশ্চিত করা সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণী থেকে এমন তথ্য জানা যায়।
ইতিপূর্বে দ্বৈত ভোটার নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন ব্যক্তির প্রথম এনআইডি কার্ডটি বহাল রেখে দ্বিতীয় এনআইডি কার্ড বাতিল করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। এতে অনেক দ্বৈত ভোটার আবেদন নিস্পত্তি করা হয়েছে। তার পরেও যে পরিমান দ্বৈত ভোটার রয়েছে সে অংকটি মোটেও ছোট নয়।
বাকি আবেদন গুলো দ্রুত নিস্পত্তি করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। ডাবল ভোটারদের প্রথম ভোটার বহাল রাখা হবে এবং দ্বিতীয় ভোটার বাতিল করা হবে। তবে ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে আবেদন ও উপযুক্ত নথি উপস্থাপন সাপেক্ষে নিস্পত্তি করার নির্দেশনা রয়েছে।
দ্বৈত ভোটারের শাস্তি কি?
দ্বৈত ভোটার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা সহ ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার নির্দেশনা রয়েছে। ডাবল ভোটারের শাস্তি হিসেবে অর্থদণ্ড অথবা কারাদণ্ড দেওয়া হয়, কখনো কখনো উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
ডাবল ভোটের হলে করণীয় কি?
একের অধিক ভোটার আইডি কার্ড হয়ে গেলে একটি বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। ভোটার আইডি বাতিল করার জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনার অফিসে আবেদন করতে হয়।
নতুন ভোটার হালনাগাদ শুরু হবে কবে থেকে
ভোটার হওয়ার জন্য হালনাদের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। বর্তমানে উপজেলা নির্বাচন অফিসে দিয়ে অথবা অনলাইনে নতুন ভোটার আবেদন করে আইডি কার্ড করা যায়।
আমার NID কার্ডের ছবি পরিবর্তন করতে চাই,আমাকে কি করতে হবে? নির্বাচন অফিসে কয়েকবার গেছি তারা বলে জন্ম নিবন্ধন কার্ড লাগবে,কিন্তু আমার জন্ম নিবন্ধন কার্ড নেই, তাই পরিবর্তন করতে পারি না,
আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে। আপনি প্রথমে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করেনিন। কারণ জন্ম সনদ খুবই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস।
নতুন ভোটার হালনাগাদ করা কবে থেকে শুরু হবে
আমার এনআইডি কার্ড এর ফুল নাম চেঞ্জ করতে হবে করনীয় কি দয়া করে আমাকে একটু জানাবেন আমি ভোটার হয়েছিলাম ২০০৮ সালে আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি অনেকবার অনলাইনে আবেদন করেছিলাম আমার কাছে ডকুমেন্ট চাচ্ছে ২০০৮ সালের আগের
আমার পাসপোর্ট সংশোধন করতে চাই কিন্তু আইডির সাথে মিল নেই কি করতে হবে
আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করুন
এনআইডি থাকলে যাতে যেকোন স্হান থেকে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্হা করা হোক বা ভোটার আইডি স্হানান্তর সহজ করা হোক।
আমি ২০১৪ সালে ভোটার হয়েছি। এখন পর্যন্ত আমি স্মার্ট কার্ড পাইনি, আমার প্রশ্ন যারা পড়ে ভোটার হয়েছেন তারা স্মার্ট কার্ড পেয়েছে কিন্তু আমরা যারা। পূর্বে ভোটার হয়েছি তাদেরকে কেন স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়নি।