ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করুন

ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড এখন অনেক সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত। জন্ম নিবন্ধন সনদ নাম্বার অথবা নিবন্ধিত নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ব্যবহার করে মাত্র ২ মিনিটে আপনার কিংবা পরিবারের অন্য কারো ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ অনুসারে একজন মানুষের নাম, জন্মের তারিখ ও জন্মস্থান, লিঙ্গ, পিতা-মাতার নাম, জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।

জন্ম নিবন্ধন এর সবচেয়ে সহজ পন্থা হল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিবন্ধন বা সংশোধন করা। আমরা অনেকেই জানিনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ করতে কি কি লাগে এবং কিভাবে নিবন্ধিত বা সংশোধিত জন্ম সনদ ডাউনলোড করতে হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আলোচনা।

ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড
ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড

বলে রাখা ভালো যে দুইটি (০২) উপায়ে নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ ডাউনলোড করা যায়। চাইলে ঘরে বসে নিজেই নিজের জন্ম সনদ অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার উপায় সমূহঃ-

  • ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড
  • জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড

ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম

ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার জন্য জন্ম নিবন্ধন ওয়েবসাইটের হোম পেজ https://bdris.gov.bd/home থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রন লিঙ্কে প্রবেশ করতে হবে। এই পেজটিতে প্রবেশ করার জন্য Username এবং Password প্রয়োজন হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য আলাদা আলাদা ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড থাকে।

তার মানে আমাদের মতো সাধারণ জনগণের জন্য এই পেজে প্রবেশ সম্ভব না। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, কম্পিউটার অপারেটর বা সংশ্লিষ্ট এডমিন এটি এক্সেস করতে পারে। আমাদের অরিজিনাল জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হলে ইউনিয়ন পরিষদ উপস্থিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করে সিল ও স্বাক্ষর করিয়ে আনতে পারবো।

ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রন করতে বা ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করার জন্য কিছু টাকা সরকারি ফি হিসেবে জমা দিতে হয়। সনদ সংগ্রহের ফি ৫০টাকা থেক ১০০টাকা হয়ে থাকে।

ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে কত দিন লাগে

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভায় যোগাযোগ করতে হয়। তখন দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদন যাচাই বাছাই করে অনুমোদন করে দেয়।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পর সেটি যখনি অনুমোদন পাবে তখনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনি আজ আবেদন করে কাল যদি ডুকুমেন্টস জমা দেন এবং তা অনুমোদন করে দেয় তা হলে যে কোন সময় অনলাইন কপি অথবা অরিজিনাল কপি (ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়) সংগ্রহ করতে পারবেন।

হারিয়ে যাওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রন করার ক্ষেত্রে অনলাইনে কোন আবেদন করার প্রয়োজন হয় না। আপনি সরাসরি আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ / পৌরসভা / সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রনের জন্য আবেদন করবেন। এটা কোন লিখিত আবেদন না। দায়িত্ব প্রাপ্ত ইউনিয়ন সচিবের সাথে কথা বললে ১ দিনেই অরজিনাল জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে দিবে।

সনদ পুনঃ মুদ্রন করে সিল, স্বাক্ষর করে দেয়ার জন্য তেমন সময়ের প্রয়োজন হয় না। কাজের তেমন চাপ না থাকলে সাথে সাথেই ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে তাতে কার্যালয়ের সিল, সচিবের স্বাক্ষর ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করে নিতে হয়।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট everify.bdris.gov.bd ভিজিট করে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নাম্বর ও জন্ম তারিখ প্রদান করুন । তারপর নিরাপত্তা ক্যাপচা পুরন করে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে জন্ম সনদ ডাউনলোড করুন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড

সকল তথ্য ঠিক থাকলে পরবর্তী পেইজ এ প্রার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদটি দেখা যাবে। কম্পিউটার ব্যবহারকারি কিবোর্ড এর Ctrl + P প্রেস করে সহজেই প্রিন্ট করে নিতে পারবে। আর মোবাইল ইউজারগন স্কিনশট নিয়ে পরবর্তীতে প্রিন্ট করে নিতে পারবে। জেনে নিন কিভাবে নিজেই নিজের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করবেন বিস্তারিতভাবে।

birth certificate online copy download
birth certificate download

জেনে রাখা ভালো অরিজিনাল জন্ম নিবন্ধন কপি দেখতে যেমন হয় হুবুহু সেই রকম কপি পাওয়া যাবে না। তবে এই অনলাইন কপিটি দিয়ে সকল ধরনের কাজ করা যাবে।

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাপ্ত আসল জন্ম সনদ পেতে হলে প্রার্থীর বয়স ও জন্মস্থান প্রমাণের জন্য ইপিআই কার্ড বা পাসপোর্ট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা কোন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্ম সংক্রান্ত ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি লাগবে। অথবা, নিবন্ধকের জন্ম তারিখ বা তার ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে জন্ম সংক্রান্ত কোন দলিল দেখিয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর সরকারি ফি প্রদান করে নির্দিষ্ট কর্মদিবস পরে নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করলে চেয়ারম্যান ও মেম্বার কর্তৃক সত্যায়িত কপি সংগ্রহ করা যাবে।

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনামূল্যে, ৪৫ থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের জন্য ২৫ টাকা দিতে হবে। সেই সাথে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।

  • আবেদনকারীর বয়স পাঁচ (০৫) বছরের বেশি হলে নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা। জন্ম তারিখ সংশোধন করতে ১০০ টাকা ফি দিতে হবে।
  • তবে জন্ম তারিখ ছাড়া অন্য যেকোনো তথ্য যেমন পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি সংশোধনের জন্য আবেদন ফি বাবদ ৫০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু বাংলা বা ইংরেজি তথ্য বিশিষ্ট জন্ম নিবন্ধন কপি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করতে কোন প্রকার চার্জ প্রদান করতে হয় না।

জমি বা বাড়ির খাজনা আদায়ের রশিদ না থাকলে সেটি সংগ্রহ করার জন্য নিরধারিত কর পরিশোধ করতে হবে। এটি ইউনিয়ন পরিষদ চৌকিদার হতে অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও সংগ্রহ করা যায়। আপনার সুবিধা অনুসারে সরকারি কর পরিশোধের রশিধ সংগ্রহ করতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে কি করবো?

হারিয়ে যাওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রন করার ক্ষেত্রে অনলাইনে কোন আবেদন করার প্রয়োজন হয় না। আপনি সরাসরি আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যোগাযোগ করলে জন্ম নিবন্ধন ফি পরিশোধ করে নতুন জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনামূল্যে, ৪৫ থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের জন্য ২৫ টাকা দিতে হবে। সেই সাথে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। আবেদনকারীর বয়স পাঁচ (০৫) বছরের বেশি হলে নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা। জন্ম তারিখ সংশোধন করতে ১০০ টাকা ফি দিতে হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

One Comment